Ads

মসজিদে মহিলাদের সালাতের ব্যবস্থায় অনীহা কেন?-২য় পর্ব

।। জামান শামস ।।

ভুলে গেলে চলবে না যে রাসূলের (সাঃ ) পর খলিফাদের যুগেও নারীদের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে গমনের এই ব্যবস্থা বহাল ছিল। ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্বর (রা:) এর যুগে মুসলিম নারীরা নিয়মিত জামাতে শরীক হয়ে সালাত আদায় করতেন। হযরত উমার (রা) মহিলাদের মসজিদে গিয়ে সালাত আদায়ের জন্য পৃথক মসজিদের দরজার ব্যবস্থা করেন। নারীদের মসজিদে গমন করে জামায়াতে শরিক হতে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ না করলেও তিনি তার স্ত্রীকে মসজিদে যেতে বারণ করেন নি। তাঁর স্ত্রী আতিকা সালাত আদায়ে মসজিদে যেতেন। অপছন্দনীয় হওয়ার পরও উমার (রাঃ) নিজের স্ত্রীকে বাধা দেননি। কারণ তিনি নিজের পছন্দ অপছন্দের উপর রাসূল (সাঃ) এর অভিপ্রায়কে অগ্রাধিকার দিতেন। আর এ চেতনাটাই সঠিক ও যথাযথ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ছাড়াও তারা অন্যান্য সালাতও মসজিদে আদায় করেছেন এমনকি হজ্জের সফরেও নারীগণ পর্দা সহকারে পুরুষদের পাশাপাশি ছিলেন।

১.নারীগণ সালাতুল খুসুফ: (চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্য গ্রহণের সালাত) পড়েছেন

“হযরত আসমা বিনতে আবু বকর থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : সূর্য গ্রহণের সময় আমি নবী সহধর্মিণী হযরত আয়েশা (রা)-এর কাছে এসে দেখতে পেলাম লোকেরা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছে এবং তিনিও তাদের সাথে সালাতে রত রয়েছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, লোকদের কি হয়েছে? তিনি হাত দিয়ে আসমানের দিকে ইঙ্গিত করে “সুবহানাল্লাহ” বললেন। আমি তখন বললাম এটা কি কোন বিশেষ নিদর্শন? তিনি ইশারায় হ্যাঁ বললেন। তখন আমিও সালাতে দাঁড়িয়ে গেলাম। দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকায় আমার বেহুশ হওয়ার মতো অবস্থা হলো। আমি মাথায় পানি ঢালতে লাগলাম। যখন রসূলুল্লাহ (স) সালাত শেষ করলেন, তখন আল্লাহর প্রশংসা করে তিনি ভাষণ দিলেন এবং বললেন…।” (সহীহ বুখারী: দুই ঈদ অধ্যায়, ঈদের দিন খেলা ও তরবারি খেলা অনুচ্ছেদ, ৩ খন্ড, ৯৫ পৃষ্ঠা )

২.নারীরা জানাযাহ’র নামাজ পড়েছেন

হযরত সা’দের ইনতিকালের পর উম্মুল মু’মিনীন হযরত ’আয়িশা ও অন্যান্য আযওয়াজে মুতাহ্‌হারাহ্‌ বলে পাঠালেন, তার লাশ মসজিদে আনা হোক, যাতে আমরা জানাযার শরীক হতে পারি। কিন্তু লোকেরা লাশ মসজিদে নেয়া যেতে পারে কিনা এ ব্যাপারে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ল। হযরত আয়িশা রা. একথা জানতে পেরে বললেনঃ ‘তোমরা এত তাড়াতাড়িই ভুলে যাও? রাসূল সা. তো সুহাইল ইবন বায়দার জানাযা এই মসজিদে আদায় করেছেন।’ অতঃপর লাশ উম্মুহাতুল মু’মিনীনের হুজরার নিকট আনা হল এবং তারা নামায আদায় করলেন।

মসজিদে মহিলাদের সালাতের ব্যবস্থায় অনীহা কেন?-১ম পর্ব

আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: যখন সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস ইন্তিকাল করলেন, নবী সহধর্মিণীগণ তাঁর কফিন মসজিদে নিয়ে আসার জন্য খবর পাঠালেন, যাতে তাঁরা সালাতুল জানাযাহ পড়তে পারেন। লোকেরা তাই করলো। তাদের গৃহের সামনে কফিন রাখা হলো এবং তারা সালাতে জানাযা পড়লেন।” (মুসলিম) এমনিভাবে রসূলুল্লাহ (স)-এর জানাযায়েও মহিলারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইমাম নববী বলেন: (অধিকাংশ আলেমদের মতে সঠিক কথা হচ্ছে এ যে, সাহাবায়ে কেরাম রসূলুল্লাহ (স)-এর জানাযা ভিন্ন ভিন্নভাবে আদায় করেছেন। নিয়ম ছিল: এক এক দল লোক ঢুকে ভিন্ন ভিন্নভাবে সালাতুল জানাযা আদায় করে বেরিয়ে আসত। তারপর পর্যায়ক্রমে মহিলা ও শিশুরা সালাত আদায় করেছে। ( ফতহুল বারী: ৯ খন্ড, ২০০ পৃষ্ঠা)

৩.হজ্জের সময় নারীরা পুরুষদের সংগে ছিলেন

“হযরত উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি রসূলুল্লাহ (স)-এর কাছে আমার অসুস্থতার কথা জানালাম। তিনি বললেন, তুমি লোকদের পিছনে আরোহী অবস্থায় তওয়াফ কর। আমি তওয়াফ করার সময় তাঁকে বায়তুল্লাহর সন্নিকটে সালাত আদায় করতে দেখলাম। তিনি সূরা তূর তেলাওয়াত করছিলেন।” (সহীহ বুখারী: নামাযের গুণাগুণ অধ্যায়, সালাম দান অনুচ্ছেদ, ২ খন্ড, ৪৬৭ পৃষ্ঠা)

উম্মুল ফযল বিনতে হারেস থেকে বর্ণিত: কতিপয় লোক আরাফার দিনে রসূলুল্লাহ (সা.)-এর সওম পালন সম্পর্কে মতভেদ করল। কেউ বললো, তিনি সওম অবস্থায় আছেন, আবার কেউ তা অস্বীকার করলো। তখন আমি তাঁর খেদমতে এক পেয়ালা দুধ পাঠিয়ে দিলাম। তিনি উটের পিঠে দাঁড়ানো অবস্থায় দুধ পান করলেন। (সহীহ বুখারী : হায়েয অধ্যায়, দুই ঈদের নামাযে ঋতুবতী মহিলার উপস্থিত হওয়া অনুচ্ছেদ, ১ খন্ড, ৪৪০ পৃষ্ঠা। সহী মুসলিম: দুই ঈদের নামায অধ্যায়, মুসল্লীর সাথে দুই ঈদে স্ত্রীর বহির্গমন বৈধ হওয়ার আলোচনা অনুচ্ছেদ, ৩ খন্ড, ২০ পৃষ্ঠা)

ইয়াহইয়া ইবনুল হুসাইন তাঁর দাদী উম্মল হুসাইন থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন : আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, বিদায় হজ্জে আমি রসূলুল্লাহ (স)-এর সাথে ছিলাম। যখন তিনি জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করে যাচ্ছিলেন, তখন আমি তাঁকে দেখেছিলাম।” (সহীহ মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ অধ্যায় ৩য় খন্ড ১৮ পৃ.)

৪,রাসূলের (সাঃ) যুগে মহিলারা ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেছেন

জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন নবী করিম (সা:) সালাত আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করলেন, প্রথমে সালাত আদায় করলেন, তারপর খুতবা দিলেন। ভাষণ শেষে মিম্বর থেকে নেমে তিনি মহিলাদের কাছে আসলেন, অতঃপর তাদেরকে উপদেশ দিলেন, এ সময় তিনি বেলালের (রা:) হাতে ভর দিয়েছিলেন। আর বেলাল (রা:) কাপড় মেলে ধরেছিলেন, যাতে নারীরা সাদাকা দিচ্ছিলেন। আমি [ইবনে জুরাইজ] ‘আতাকে বললাম: নারীরা কি সাদাকা ফিতরা আদায় করছিলেন? আতা বললেন, না, এটি ছিল ওই সময় দানকৃত বিশেষ সাদাকা; রমণীরা নিজেদের আংটি খুলে দিচ্ছিলেন। আমি বললাম, বর্তমানে ইমামের কি উচিত হবে মহিলাদেরকে উপদেশ দেয়া? তিনি বললেন, এটি তাদের কর্তব্য, কেন তা তারা তা করবে না? [বোখারী, খ.১, পৃ.২৩৪] হাদীসটি কমপক্ষে ছয়টি স্থানে বুখারীতে উল্লেখ করা হয়েছে। চারটিতে ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বাকী দু’টিতে জাবির বিন আব্দিল্লাহ (রা:) হতে।

রাসুল (সা:) এর যুগে নারীরা ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করতেন। নারীদের উদ্দেশ্যে রাসুল (সা:) দ্বিতীয় বার বিশেষ ভাষণ প্রদান করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় মহিলারা পুরুষদের কাছ থেকে পৃথক হয়ে কিছুটা দূরত্বে অবস্থান করতেন। নারীদের ঈদের সালাতে অংশ গ্রহণকে রাসূল (সা:) খুবই গুরুত্ব দিতেন। এমন কি রাসুল (সা:) ঋতুবতী নারীদেরকেও ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দিতেন।

বিশ্বব্যাপী শিক্ষা বিস্তারে সোনালি যুগের মুসলিম নারীদের ভূমিকা

শিরীন তনয়া হাফসা বলেন, আমরা আমাদের মেয়েদেরকে ঈদের দিন বের হতে বারণ করতাম। একবার এক মহিলা এসে বনি খালাফের প্রাসাদে উঠলেন। তিনি বর্ণনা করলেন যে, তার ভগ্নিপতি রাসূলের (সা:) সাথে বারোটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তম্মধ্যে ছয়টি যুদ্ধে তার বোন স্বামীর সাথে ছিলেন। তিনি [আগন্তুক মহিলার বোন] বলেন, আমরা রোগীদের দেখাশোনা করতাম আর আহতদের সেবা করতাম। তিনি রাসূল (সা:) কে জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের কারো যদি জিলবাব [বড় চাদর] না থাকে, তবে বের না হওয়ায় কি কোন অসুবিধা আছে? তিনি বললেন, তার সঙ্গিনী যেন স্বীয় চাদর দিয়ে বান্ধবীকে ঢেকে নেয়। তাদের [মহিলাদের] উচিত কল্যাণময় কাজ ও মুমিনদের দোয়ার স্থানে উপস্থিত থাকা। হাফসা বলেন, উম্মুল আতিয়া যখন আসলেন, আমি তার কাছে গেলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এই ব্যাপারে কিছু শুনেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমার পিতা উৎসর্গিত হোক, আতিয়া রাসুল (সা:) এর নাম উচ্চারণ করলেই বলতেন, তার জন্য আমার পিতা উৎসর্গিত হোক, রাসূল (সা:) বলেছেন, সাবালিকা তরুণীও পর্দাশীনরা এবং ঋতুবতী রমণীরা যেন বের হয়; তবে ঋতুবতীরা নামাজের স্থান হতে দূরে থাকবে। তারা যেন কল্যাণের কাজ ও মুমিনদের দোয়ার স্থলে হাজির হয়। হাফসা বলেন, আমি তাকে বললাম, ঋতুবতীরাও? তিনি বললেন, হ্যাঁ, কেন নয়? ঋতুবতী নারী কি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয় না? তারা কি এটাতে ওটাতে যায় না? [বোখারী, খ.১, পৃ. ৮৪,২৩৩,২৩৫]

এই হাদীসে বেশ কিছু নির্দেশনা পাওয়া যায়। বড় চাদরে শরীর আবৃত না করে নারীদের বের হওয়া নিষেধ। ইবাদত ও কল্যাণময় কাজে নারীদের অংশ গ্রহণ করা উচিৎ। ঋতুবতী নারীরাও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে না। কল্যাণময় কাজের স্থান, যিকর ও জ্ঞানার্জনের আসরে যেতে তাদের কোনো বাধা নেই।

আমাদের দেশে নারীরা ঈদ ও সালাতে অংশ গ্রহণ মনোভাব

আমাদের দেশে এক দল আলেম মনে করেন, নারীদের মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে ফিতনা বিস্তারের কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের মতে, ইবাদত পালনের উদ্দেশ্যে বের হয়ে অনাসৃষ্টি মেনে নেওয়া যায় না। বাস্তব কথা হলো নারীদের ক্ষেত্রে এ মনোভাব পোষণ করা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে। এতে নারী জাতিকে খাটো ও হেয় করা হয়। রাসূল (সাঃ) নারীদের মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দিতে বলেছেন, তিনি তাদের কে – এমনকি ঋতুবতী রমণীকেও ঈদগায়ে উপস্থিত হয়ে মুসলিমদের কল্যাণ কামনায় শরীক হতে বলেছেন। এ নির্দেশনাসমূহ কোনোটি কাল বা যুগ সংশ্লিষ্ট নয়। ধর্ষণের চেয়ে মারাত্মক ফেতনা আর হতে পারে না। রাসূলের (সাঃ) এর যুগে মসজিদে সালাত আদায় করতে গিয়ে নারী ধর্ষিত হয়েছেন। তবুও তিনি নারীদের মসজিদে যেতে বারণ করেন নি। ওয়াইল ইবনে হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোনরূপ শাস্তি দেননি, তবে ধর্ষণকারীকে হদ্দের শাস্তি দেন।(ইবনে মাযাহ ২৫৯৮) রাসুল (সা.) নারী ধর্ষিতা হবার আশংকায় তো নারীদের সালাতে যাওয়া অনিরাপদ বিবেচনায় বন্ধ করেননি।

সংসার এক শিক্ষালয়

ফিতনার আশঙ্কায় নারীদেরকে মসজিদে গমনে বাধা দেওয়া সমীচীন হবে কি না আদৌ তা বন্ধ হয়েছে ? এ কেমন উদ্ভট চিন্তা ? কারা কী উদ্দেশ্যে এমন চিন্তা করতে পারে,বোধগম্য নয়। এক সেকেন্ডের জন্য ধরে নিলাম,মসজিদে আগমনকালেই কোন রমনী হেনস্তার শিকার হলেন কিংবা কোন পুরুষ তার রুপ সৌন্দর্যে বেহুঁশ হয়ে তাকে জাঁপটে ধরলেন তাতে কি আপনি মসজিদে আগমনকারীর উপর তোহমদ দিবেন ? নাকি অপরাধীকে শাস্তি দিবে ? বিবেকের বিচার কি বলে ? দুয়ার বন্ধ করলে প্রলয় থামে না। নারীদের মসজিদে গমনে বাধা দেওয়া ফিতনা দূর করার উপায়ও নয়। তাহলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিতনা,বাঁশ বাগানের ফেতনা,পার্ক রেষ্টুরেন্টের ফেতনা কে নির্মূল করবে ? রাষ্ট্রীয় ফেতনার কথা আর নাই বললাম।

চলবে…

লেখকঃ কলাম লেখক এবং সাবেক এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা, গল্প  ও কবিতা  পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে ।  আসুন  ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো ।” (সূরা বাকারা-১৪৮) । আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

ফেসবুকে লেখক জামান শামস

আরও পড়ুন