Ads

মসজিদে মহিলাদের সালাতের ব্যবস্থায় অনীহা কেন?-৩য় পর্ব

।। জামান শামস ।।

আলোচনা করেছি যে মসজিদে পুরুষদের সাথে সালাত আদায়ের জন্য নারীদের ঘর থেকে বের হওয়া বৈধ। যারা নারীদের মসজিদে সালাত আদায়ে ঘর থেকে বের হওয়াকে ফিতনা সাব্যস্ত করেন অথবা ফিতনা হবার আশংকা করেন তাদের যুক্তি ও দলিল একটিই আর সেটি হলো সহীহ মুসলিমের এই হাদীস-

আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ لَا تَمْنَعُوا نِسَاءَكُمُ الْمَسَاجِدَ وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‏ তোমরা তোমাদের নারীদের মসজিদে যেতে নিষেধ করো না। তবে তাদের ঘরই তাদের জন্য উত্তম। (আহমাদ ৫৪৬৮, সুনানে আবু দাউদ ৫৬৭)

আবার একই রাবী সুনানে আবু দাউদ এ উদ্ধৃত পরবর্তী হাদীসে বলছেন-

আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মহিলাদেরকে রাতের বেলা মসজিদে যেতে অনুমতি দাও। তখন তার এক ছেলে (বিলাল) বলল, আল্লাহর শপথ! আমি তাদেরকে (রাতের বেলা মসজিদে যেতে) অনুমতি দিব না। এটাকে তারা বাহানা হিসেবে গ্রহণ করবে। আল্লাহর শপথ! আমি কখনো তাদেরকে অনুমতি দিব না। বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) তাকে গালমন্দ করেন এবং ক্রোধান্বিত হয়ে বলেন, আমি তোমাকে বলছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ائْذَنُوا لَهُنَّ ‏”‏ ‏.‏ وَتَقُولُ لَا نَأْذَنُ لَهُنَّ তোমরা মহিলাদের অনুমতি দাও, আর তুমি কিনা বলছ, আমি তাদেরকে অনুমতি দিব না ( সহীহ বুখারী ৮৯৯,সুনানে আবু দাউদ ৫৬৮)

মুল বিতর্কটাই এখানেই। “ঘরই তাদের জন্য উত্তম বনাম তোমরা মহিলাদের অনুমতি দাও” আপনার কন্যা বা স্ত্রী সালাতে অংশ নিতে চাইলে এ দুটি বিষয়ের মধ্যে আপনি কিভাবে সমন্বয় করতেন ? তাকে যেতে নিষেধ করতেন নাকি বলতেন,”মা যাও তবে একটু দেখে শুনে যেও”। নিজের মেয়েকে নিজেই সাজ্জসজ্জা এড়িয়ে যেতে বলতেন। এখন যেমন স্কুল কলেজে পাঠাতে বলেন। এবার আসুন খোলামন নিয়ে একবার ভাবি ইসলাম নারীদের জন্য কি কর্তব্যকর্ম স্থির করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন-

মসজিদে মহিলাদের সালাতের ব্যবস্থায় অনীহা কেন?-১ম পর্ব

নারী-পুরুষ উভয়ে মানুষ—তবু সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উভয়ের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। স্বভাবগতভাবে সাধারণত নারীরা ঘরের গুরুদায়িত্ব পালন করে। পরিবার দেখাশোনা, সন্তানদের প্রতিপালন ও সুখময় দাম্পত্য জীবনে সহায়ক যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে।ইসলামে নারীকে ব্যয়ভার বহন করা থেকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়েছে।নারীর ব্যয়ভার পর্যায়ক্রমে পিতা, স্বামী ও সন্তানের ওপর ন্যস্ত। তা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ইসলাম নারীর জন্য স্বহস্তে উপার্জনের পথ খোলা রেখেছে। ইসলামী শরিয়তের বিধান মেনে মুসলিম নারীরাও উপার্জন করতে পারে। চাকরি করতে পারে, ব্যবসা করতে পারে। কৃষিকাজে শরিক হতে পারে। বিভিন্ন পেশা গ্রহণ করতে পারে। মহান আল্লাহ ব্যবসার বৈধতা দিয়েছেন। এই বৈধতা নারী ও পুরুষ সবার জন্য।

পবিত্র কুরআনে এসেছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা একে অন্যের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমাদের পরস্পর সন্তুষ্টচিত্তে ব্যবসা করা বৈধ…।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৯)কোন মুফাসসির বলেন নি যে আয়াতটি পুরুষের জন্য খাস। ব্যবসা ও লেনদেনের এই বৈধতা নারী ও পুরুষ সবার জন্য। লেনদেনের ক্ষেত্রে পুরুষ যেভাবে সাক্ষী হতে পারে, নারীরাও পারে,একথা আল্লাহই বলেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘…সাক্ষীদের মধ্যে যাদের ওপর তোমরা রাজি, তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ সাক্ষী রাখবে, যদি দুজন পুরুষ না থাকে, তাহলে একজন পুরুষ ও দুজন নারী। নারীদের মধ্যে একজন ভুল করলে অন্যজন স্মরণ করিয়ে দেবে। সাক্ষীদের যখন ডাকা হবে, তারা যেন অস্বীকার না করে। এটা ছোট হোক, বড় হোক—মেয়াদসহ লিখতে তোমরা কোনো ধরনের বিরক্ত হইয়ো না…। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াতাংশ : ২৮২)

তবে ইসলাম বিনা প্রয়োজনে নারীকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে। আর জাহেলি যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না…। ’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৩) তবে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নারীরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে। মা-বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ, স্বজনের মৃত্যু, বিবাহ-অনুষ্ঠান, চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে।

পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে শোয়াইব (আ.)-এর দুই কন্যার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন সে [মুসা (আ.)] মাদিয়ানের কূপের কাছে পৌঁছল, দেখল একদল লোক প্রাণীগুলোকে পানি পান করাচ্ছে। আর তাদের পেছনে দুজন নারী তাদের পশুগুলোকে আগলে রেখেছে। সে [মুসা (আ.)] বলল, তোমাদের কী ব্যাপার? তারা বলল, আমরা আমাদের প্রাণীগুলোকে পানি পান করাতে পারি না, যতক্ষণ রাখালরা তাদের পশুগুলোকে নিয়ে না সরে যায়। আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ। ’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ২৩)

আরও পড়ুন-

মসজিদে মহিলাদের সালাতের ব্যবস্থায় অনীহা কেন?-২য় পর্ব

এ আয়াত থেকে জানা যায়, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নারীরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে এবং কাজ করতে পারবে। ইসলামের সোনালি যুগে ব্যবসা, কৃষি, হস্তশিল্প, সমাজসেবাসহ বিভিন্ন পেশায় নারীদের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। ব্যবসা, চাকরি ও পেশা গ্রহণের ক্ষেত্রে ইসলাম চায় পেশাবৃত্তি যেন নারীর ব্যক্তিত্ব, সতিত্ব ও সম্ভ্রমের জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায়। তাই যৌক্তিক কারণে কর্মক্ষেত্রে নারীর বিচরণের ক্ষেত্রে ইসলাম পর্দার বিধান পরিপালন,নিজ সতীত্বের সুরক্ষা ও হালাল-হারাম বাছ বিচারের শর্তে,এগুলোর সাথে কম্প্রোমাইজ করে নয় বা অবজ্ঞা করে নয়।

বলা আবশ্যক যে আমাদের কিছু কিছু ধর্মবেত্তার “নারী এলার্জি” এতো বিস্তৃত যে তারা নারী জাতিকেই শয়তানের দোসর মনে করেন। এক ওয়াজীনকে বলতে শুনেছি যে নারীর ষড়যন্ত্র শয়তানের চাইতেও মারাত্মক। কথাটি বেশ মুখরোচক,সন্দেহ নেই। তিনি আবার এর স্বপক্ষে কুরআনের আয়াতকে দলিল হিসাবে পেশ করেছে।কুরআনে শয়তান প্রসংগে আল্লাহ বলেন, اِنَّ کَیۡدَ الشَّیۡطٰنِ کَانَ ضَعِیۡفًا নিশ্চয় শয়তানের ষড়যন্ত্র দুর্বল।কিন্ত নারী প্রসংগে আল্লাহ কমেন্ট হলো, اِنَّ کَیۡدَکُنَّ عَظِیۡمٌ নিশ্চয় তোমাদের ষড়যন্ত্র ভয়ানক।কি আশ্চর্য ! নবী ইউসুফ আঃ কে প্রতারণা করা আজিজে মিশর এর স্ত্রীর সেই ছলনা প্রসংগে করা একটি খাস বা সুনির্দিষ্ট মন্তব্যকে তারা সাধারণ সব নারীদের উপর চালিয়ে দিয়েছে।

আরো দুঃখজনক যে আপনি নারীকে মসজিদে যেতে দিবেন না,ভালো কথা।আপনার মসজিদে হতে পারে নারী মুসল্লির নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা নেই।অযু ইসতেনজার ব্যবস্থা নেই।আপনি বলুন-এই মসজিদে সম্মানিত নারীগণের সালাতের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। এর পরিবর্তে আপনি মসজিদের রাস্তার উপর সাইনবোর্ড লিখে রেখেছেন,”ভিতরে মসজিদ।এই রাস্তায় মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ”। বলুন, এগুলো কি ? মহিলা কি আপনার ঘরে নেই-আপনার স্ত্রী,মা কিংবা বোন। তারা কি এতোই অস্পৃশ্য ও অপাংক্তেয় যে মসজিদে তো দূরে মসজিদের রাস্তায়ই আসতে পারবে না ? বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন,এগুলো কি মেয়েদের প্রতি আপনাদের অসম্মান ও অমর্যাদাবোধ নয় ?

যে ফিতনা ফিতনা বলে জগৎ সংসারে ঢেউ তুলেছেন সেটাও সুস্পষ্ট করা হয়েছে। ইমাম শাওকানী রহ. ‘নাইলুল আওতার’: (৩/১৪০ ও ১৪১) গ্রন্থে বলেন: এসব দলীল প্রমাণ করে, নারীদের মসজিদে যাওয়া বৈধ যদি তার সাথে ফিতনা ও ফিতনাকে জাগ্রতকারী বস্তু না থাকে, যেমন সুগন্ধি জাতীয় বস্তু ইত্যাদি। তিনি আরো বলেন: হাদীস প্রমাণ করে যে, পুরুষরা নারীদেরকে তখন অনুমতি দিবে যখন তাদের বের হওয়ার মধ্যে ফিতনার আশঙ্কা নেই। যেমন সুগন্ধি অথবা অলঙ্কার অথবা সৌন্দর্যহীন অবস্থায়”।কোন নারী মসজিদে সালাত উদ্দেশ্যে রওনা করলে এতটুকু সতর্কতা নিশ্চয়ই রক্ষা করে। এটা তো বিয়েবাড়ীর দাওয়াত নয় যে এখানে পার্লারে সেজে যাবে।

আরও পড়ুন-

বিশ্বব্যাপী শিক্ষা বিস্তারে সোনালি যুগের মুসলিম নারীদের ভূমিকা

 

আয়েশা রাঃ বর্ণিত আরেকটি হাদীসের উদ্ধৃতিও কৌশলে দেওয়া হয়। রাসুল সাঃ এর ইন্তেকালের পর যখন নারীরা মসজিদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা সহকারে বের হতে শুরু করলো তখন তিনি বললেন-নারীরা কাপড় ও অলঙ্কার দ্বারা সুসজ্জিত হয়ে বের হবে না: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন:

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বর্তমান মহিলাদের আচার–আচরণ যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বচক্ষে দেখতে পেতেন তবে অবশ্যই তিনি তাদের মসজিদে যেতে নিষেধ করতেন– যেরূপ বনী ইসরাঈলের স্ত্রীলোকদের মসজিদে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছিল। রাবী ইয়াহয়া বলেন, তখন আমি রাবী আমরাকে জিজ্ঞাসা করি, বনী ইসরাঈলের স্ত্রীলোকদের কি মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল? তিনি বলেন, হ্যাঁ। (কিতাবুস সুনান – ইমাম আবু দাউদ রহঃ, নামাযের অধ্যায় হাদীস ৫৬৯)

ইমাম শাওকানী রহ. ‘নাইলুল আওতার’ গ্রন্থে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কথা (নারীরা যা আবিস্কার করেছে বলে আমরা দেখছি তা যদি রাসূলুল্লহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখতে পেতেন) প্রসঙ্গে বলেন: অর্থাৎ সুন্দর পোশাক, সুগন্ধি, সৌন্দর্য চর্চা ও বেপর্দা। বস্তুত নবী সাঃ এর যুগে নারীরা বের হত উড়না, কাপড় ও মোটা চাদর পেঁচিয়ে”। প্রশ্ন হলে আয়েশা রাঃ কি টোটালি মসজিদ নারীদের জন্য ব্লক করে দিয়েছেন নাকি কিছু কিছু নারীর আচরণগত ত্রুটিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এমনকি রাসুলে কারীম জীবিত থাকলেও তাঁর। অনুমতি ব্যতীত সে পরিস্থিতিতে নারীদের মসজিদে যাওয়া কি বন্ধ করা যেতো ? প্রাসংগিকভাবে আগে আলোচিত ও উদ্ধৃত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ এর হাদীসটির সাথে মিলান।

ইমাম ইবনুল জাওযী রহ. বলেন: “নারীদের উচিত যথাসম্ভব ঘর থেকে বের না হওয়া, যদিও সে নিজের ব্যাপারে নিরাপদ হয়, কিন্তু মানুষেরা তার থেকে নিরাপদ নয়। যদি বের হওয়ার একান্ত প্রয়োজন হয়, তাহলে স্বামীর অনুমতি নিয়ে অপরিচ্ছন্ন পোশাকে বের হবে। আর খালি জায়গা দিয়ে হাঁটবে, প্রধান সড়ক ও বাজার দিয়ে হাঁটবে না, কণ্ঠস্বর যেন কেউ না শুনে সতর্ক থাকবে, রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটবে মাঝখান দিয়ে নয়”।

চলবে-

লেখকঃ কলাম লেখক এবং সাবেক এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা, গল্প  ও কবিতা  পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে ।  আসুন  ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো ।” (সূরা বাকারা-১৪৮) । আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

ফেসবুকে লেখক জামান শামস

আরও পড়ুন