Ads

মসজিদে মহিলাদের সালাতের ব্যবস্থায় অনীহা কেন?-৪র্থ পর্ব

।। জামান শামস ।।

একথা আমরা সবাই বলি যে ইসলামের সূচনাকাল থেকে জ্ঞান আদান-প্রদানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল মসজিদ। বিভিন্ন গোত্রে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক পাঠশালা হিসেবেও মসজিদ মক্কা, মদিনা, কুফা, বসরা, দামেশক, জেরুজালেম ও মিশরের প্রধান প্রধান মসজিদগুলোতে রাসুল (সা.)-এর মহান সাহাবিগণ এবং পরবর্তী যুগে তাবেয়িগণও পাঠদান করতেন। ইমাম আবু হানিফা, তাঁর ছাত্ররা ও অন্যান্য আলিম-উলামা একই চর্চা করেছেন। কখনো কখনো একটি মসজিদে একই সঙ্গে অনেক শিক্ষক মসজিদের বিভিন্ন খুঁটির নিকট পাঠদান করতেন পৃথকভাবে। নির্দিষ্টভাবে সুপরিচিত ও সম্মানিত হওয়ার ফলে শিক্ষকগণের কাছে ইলম অন্বেষণের উদ্দেশ্যে হাজির অসংখ্য শিক্ষার্থী।

নারীরাও পুরুষদের মতো মসজিদে নিয়মিত হাজির হতেন।হিন্দ বিনতে উসাইদ ইবনে হাইদার আল আনসারিয়া (রা.) রাসুল (সা.)-এর নামাজে তিলাওয়াত শুনে সূরা কাহাফ মুখস্থ করে ফেলেছিলেন। ইবনে জাবিরা,ও উসমান ইবনে আবুল আতিকা বলেন- ‘আবু দারদার অধীনে উম্মে দারদার এক এতিম শিশু ছিল। আতিয়া নিয়মিত মসজিদে যেত এবং পুরুষদের সঙ্গে পিছনের সারিতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করত। নামাজ শেষে কুরআন শিক্ষার আসরে বসত পুরুষদের সঙ্গেই। আবু দারদা একদিন তাঁকে নারীদের সারিতে বসার কথা বলেন। তার আগপর্যন্ত সে এভাবেই পুরুষদের সঙ্গে বসতেন। তখনো পর্দার বিধান নাজিল হয়নি।

নারীরা নিয়মিত হাদিসের পাঠদান ক্লাসে অংশগ্রহণ করতেন, এমন একটি বিখ্যাত মসজিদ হলো-দামেশকের কাসিয়ুনের সালিনিয়ার জামে আল হানাবিলা, যা আল জামি আল মুজাফফারি নামেও পরিচিত। ৫৯৮ হিজরিতে ওই মসজিদ ভবনটি চালু হয়। ড. মুহাম্মাদ মুতি আল হাফিজ ওই মসজিদের ৭২০ পৃষ্ঠার একটি ইতিহাসগ্রন্থ রচনা করেন। সেখানে তিনি এমন অনেক নারীর নাম সংকলন করেন, যারা ওই মসজিদে হাদিস পড়াতেন এবং পড়তেন।

আরও পড়ুন-

মসজিদে মহিলাদের সালাতের ব্যবস্থায় অনীহা কেন?-৩য় পর্ব

আরেকটি মর্যাদাকর পাঠদানকেন্দ্র ছিল দামেশকের উমাইয়া মসজিদ, যেখানে পুরুষদের মতো অনেক নারীও হাদিসের ক্লাসে উপস্থিত হতেন। যেমন : আসমা বিনতে আহমাদ ইবনে আলম ইবনে মাহমুদ ইবনে উমর আল হাররানি ৭২৪ হিজরিতে ইসমাইল ইবনে উমর ইবনে আবুল ফজল ইবনে নাসর আল হামাবি দিয়া উদ্দিনের নিকট ‘আল জামি আল আমাবি’ মসজিদে আবু তাহির আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ আল সিলাফি আল আসবাহানির (মৃত্যু: ৫৭৬ হি.) ‘আল মাজালিশ আল খামসা’ ২০টি ক্লাসের মাধ্যমে পড়ে শেষ করেন।

কাতুল আল রুমিয়া’র চারজন মহান শিক্ষক যথাক্রমে জামাল উদ্দিন ইউসুফ আজ-জাকি আবদুর রহমান ইবনে ইউসুফ ইবনুল মিজাজি, আলম শামসুদ্দিন কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ আল বিরজালি, শামসুদ্দিন মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহিম ইবনে গানিম আল মুহানদিস ও শামসুদ্দিন মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ ইবনে আলি ইবনে আবদুল গনি আল রাক্কি (রহ.)-এর নিকট ৭৩৩ হিজরিতে মসজিদে ‘জামে আল আমাবিতে’ ৪৩টি ক্লাসের মাধ্যমে আবুল হারিস সুরাইজ ইবনে ইউনুস ইবনে ইবরাহিম ইবনে সুয়া আল বালখি (মৃত্যু : ২৩৫ হি.) রচিত ‘আল কাদা’ গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায় পাঠ শেষ করেন। (ড.আকরাম নদভী,আল মুহাদ্দিসাত ভূমিকা,পৃ.১২১)

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ হলো- ‘জামে আল বায়তুল আবরার’ (সিরিয়া), যেখানে নারীরা হাদিসের ক্লাসে অংশ নিতেন। উদাহরণস্বরূপ, রুকাইয়া বিনতে দাউদ ইবনে উমর ইবনে ইউসুফ ইবনে ইয়াহইয়া আশ-শাফি, ফখরুদ্দিন মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহিম ইবনে মুসাল্লাম ইবনে সালমান আল ইরবালির সঙ্গে ৬৩১ হিজরিতে ২২টি ক্লাসের মাধ্যমে আবু শাইখ মুহাম্মাদ ইবনুল হুসাইন আল বারজালানি (মৃত্যু: ২৩৮ হি.) কর্তৃক রচিত ‘আল কারামুল জুদ ওয়া সাখাউন নুফুস’ অধ্যয়ন করেন।

নারীরা হাদিসের বিদ্যাপীঠেও অংশগ্রহণ করতেন। সে সময়ের বিদ্যাপীঠগুলোর কিছু হাজিরা বই থেকে জানা যায়-হাদিসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন নারী- পুরুষ উভয়ই ছিলেন, তেমনি শিক্ষকগণের মধ্যেও ছিলেন নারী-পুরুষ উভয়ই। হাদিস ক্লাসে প্রচুর নারী অংশগ্রহণ করতেন। এমনই একটি পাঠশালা ছিল ‘আল মাদরাসা আল উমারিয়া’। ৫৫৭ হিজরিতে দামেশকের সালেহিয়ায় শাইখ আবু উমর আল মাকদিসি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই মাদরাসার হাজিরা তালিকা সংকলন করেন ইতিহাস রচয়িতা ড. মুহাম্মাদ মুতি আল হাফিজ। পূর্বের দলিলাদি থেকে শুরু করে ৬০৪ হিজরি পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে জানা যায়, আবু হাফস উমর ইবনে তাবরাজাদ পাঠদান করেছিলেন ‘আমালি আল কাজি আবু ইয়ালা আল ফাররা’সহ অনেক হাদিসগ্রন্থের। সেই অনুষ্ঠানে খাদিজা বিনতে আশ-শাইখ ইমাদ ইবরাহিম ইবনে আবদুল ওয়াহিদ আল মাকদিসিয়ার মতো প্রখ্যাত ছাত্রী ছাড়াও আরও প্রায় ১২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিলেন।

আরও পড়ুন-

যে কারণে চাকুরীর বাজারে পুরুষের চেয়ে নারীরা পিছিয়ে

আরেকটি বিখ্যাত পাঠশালা হলো দামেশকের ‘দারুল হাদিস আন- মুরিয়া’, যেখানে শাইখা উম্মে মুহাম্মাদ আমিনা বিনতে আল ইমাম আল জাহিদ তাকি উদ্দিন আবু ইসহাক ইবরাহিম আলি ইবনে আহমাদ ইবনে ফজল আল ওয়াশিকিয়া, জহির ইবনে তাহির ইবনে মুহাম্মাদ আশ-শাহহামি আল মুয়াদ্দিল (মৃত্যু ৫৩৩ হি.)-কে ‘তোহফায়ে ঈদুল ফিতর’ পড়িয়েছিলেন। এই পাঠশালাতেই ৭২৪ হিজরিতে আলি ইবনে ইবরাহিম ইবনে দাউদ ইবনুল আত্তার বিখ্যাত মনীষী আদ-দিমাশকি কর্তৃক সংকলিত ‘হাদিসে আবু তাহির আল জিয়াদি’ পড়েছিলেন।

একইভাবে ‘আল মাদরাসাতুল মুরশিদিয়া’ও বিখ্যাত ছিল। সেখানে আসমা বিনতে আহমাদ ইবনে আলম ইবনে মাহমুদ ইবনে উমর আল হাররানি, হাদিসের তিনজন মহান শিক্ষক-সুলতান আসাদ উদ্দিন আবু মুহাম্মাদ আবদুল কাদির ইবনে আবদুল আজিজ আল আইয়ুবি, শিহাব উদ্দিন আবুল আব্বাস আহমাদ ইবনে আবুল হাসান আলি ইবনুল হাসান ইবনে দাউদ আল জাজারি আল কুর্দি ও ইমাদ উদ্দিন আবদুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে শাইখ রাদি উদ্দিন আবদুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল জাব্বার আল মাকদিসির নিকট ৭৩৩ হিজরিতে হামজা আল কিনানির গ্রন্থ ‘মাজলিসুল বিতাকা’ পড়েছিলেন।

আরেকটি পাঠশালা হলো-‘আল মাদরাসা আল মিসমারিয়া’ এখানে আসমা বিনতে আবু বকর ইবনে হামজা আল মারদাওবি ৬৮৮ হিজরিতে ১৯টি ক্লাসে ‘হাদিসে বকর ইবনে সিরাজি’ পড়েছিলেন। তাঁর শিক্ষক ছিলেন জয়নব বিনতে মক্কি আল হারামি (মৃত্যু: ৬৮৮ হি.) সম্ভবত ষষ্ঠ শতাব্দীতে দামেশকের হাদিস শেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল সাকরুল হাদিস আল আশরাফিয়া’, যেখানে পরবর্তী সময়ে আবুল হাজ্জাজ আল দুঞ্জির (মৃত্যু : ৭৪২) মতো প্রখ্যাত হাদিস বিশারদও শিক্ষকতা করেছিলেন। বহুসংখ্যক নারী শিক্ষার্থী হাদিস শেখার জন্য সেখানে উপস্থিত হতেন। উদাহরণস্বরূপ, আসমা বিনতে আল ইমাম তাকি উদ্দিন আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে সোলায়মান আল জাবির ২৮টি ক্লাসে হাসান ইবনে সুফিয়ান ইবনে আমির আশ-শায়বানি (মৃত্যু : ৩০৩ হি.) কর্তৃক সংকলিত ‘চল্লিশ হাদিস’ পাড়েছিলেন। ৭৪১ হিজরিতে এই পাঠশালার প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন হাফিজ আবুল হাজ্জাজ জামাল উদ্দিন ইউসুফ ইবনে আবদুর রহমান আল মিজ্জি।

‘দারুল হাদিস আদ-দিয়াইইয়া’ দামেশকের আরেকটি বিখ্যাত হাদিসের পাঠশালা। এখানে শাইখা আসমা বিনতে মুহাম্মাদ ইবনুল কামাল আবদুর রহমান আল মাকদিসিয়া ৬৬০ হিজরিতে ৩৪টি ক্লাসে সেই সময়ের হাদিসের প্রখ্যাত শিক্ষক ফখরুদ্দিন ইবনে আহমাদ আল বুখারির নিকট ‘আমালি আন- নাক্কাস’ পড়ে শেষ করেছিলেন।

নারী সাহাবিগণ জ্ঞান অর্জনের পথে কঠোর পরিশ্রমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ। অন্যরা শুনলে কী মনে করবে, এই ভেবে তাঁরা কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করতেন না। উম্মে সালামা (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন উম্মে সুলাইম (রা.) রাসূল (সা.)-এর নিকট এসে বললেন-‘হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তায়ালা কোনো সত্য প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। যদি কোনো নারীর স্বপ্নদোষ হয়, তবে কি তার জন্য গোসল ফরজ হবে?’ নবিজি বললেন-‘ (হ্যাঁ) যদি কিছু নির্গত হতে দেখে, তাহলে ফরজ হবে।’ উম্মে সালামা (রা.) মুখ ঢেকে বললেন-‘নারীদেরও স্বপ্নদোষ হয়?’ নবিজি বললেন- ‘হ্যাঁ। তোমার হাত ধুলোমলিন হোক! (যদি স্বপ্নদোষ না-ই হতো) কীভাবে একটি শিশু কখনো কখনো তার মায়ের মতো হয়?’

আরও পড়ুন-

মহিলাদের জানাজায় অংশগ্রহণ এবং কবর জিয়ারত

আয়িশা (রা.) একবার বলেন-‘আনসার নারীরা কত সুন্দর! দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে লজ্জা তাঁদের বাধা হতে পারেনি। সাহাবিগণের নিকট নারীদের জ্ঞানার্জন অবাধ ছিলো।পরবর্তী প্রজন্মের নারীরা সাহাবিদের নিকট নারী-পুরুষ উভয়ের বিষয়েই বিভিন্ন প্রশ্ন করতেন। একটি উদাহরণ দিচ্ছি-

আবদুল্লাহ ইবনে জাবির আল আহমাসি তাঁর ফুফু জয়নব বিনতে আল মুহাজির থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন-‘আমি হজে গেলাম। আমার সঙ্গে অন্য একজন নারী ছিলেন। তাঁবু গাড়ার পর আমরা পণ করলাম, কারও সঙ্গে কথা বলবো না। অতঃপর এক লোক আমার তাঁবুর দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো-আসসালামু আলাইকুম। আমার সঙ্গিনী উত্তর দিলো। তারপর লোকটি বলল, আপনার সঙ্গী কথা বলছে না কেন? সঙ্গিনী বলল, সে কথা বলবে না বলে পণ করেছে।

লোকটি বললেন, কথা বলুন। কারণ, (এ ধরনের পণ) জাহেলি যুগের রীতি। আমি বললাম-আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন, আপনি কে? লোকটি বলল, আমি একজন মুহাজির। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কোন গোত্রের মুহাজির? তিনি বললেন, কুরাইশ গোত্রের। বললাম, আপনি কুরাইশদের কোন পক্ষের মুহাজির? তিনি বললেন, আপনি অনেক প্রশ্ন করছেন! আমি আবু বকর। বললাম, ও আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর খলিফা! আমরা তো জাহেলি যুগেরই মানুষ, যখন একজন মানুষ আরেকজন মানুষ থেকে নিরাপদ ছিল না। এখন আপনি যা দেখছেন (এই শান্তি ও নিরাপত্তা), তা আল্লাহ তায়ালা আমাদের দিয়েছেন। কিন্তু কতদিন এই (শান্তি ও নিরাপত্তা) টেকসই হবে? তিনি বললেন, যতদিন তোমাদের নেতাগণ সঠিক পথে থাকবেন। বললাম, আমাদের নেতা কে? তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কি এমন লোক নেই- যাদের মহত্ত্ব ও নেতৃত্ব তোমরা অনুসরণ করো? আমি বললাম, অবশ্যই আছে। তিনি বললেন, তারাই তোমাদের নেতা। (ইবনে সাদ,তাবাকাতুল কুবরা ৮ম খন্ড পৃ.৪৭০)

আমাদের একথা মানতেই হবে যে মসজিদের সে ভূমিকা এখন আর নেই। মসজিদভিত্তিক পঠন পাঠন তো দূরে কিছু কিছু মসজিদে কুরআন হাদীসের দরসও বিদায় হয়েছে। বলা হয়,মসজিদে বসে দুনিয়াবী কথাবার্তা বলা যাবেনা অথচ সমগ্র কুরআন ও হাদীসে তো দুনিয়ার কথাই বলা হয়েছে।মানুষের দুনিয়ার প্রয়োজন ও হাজতগুলোকে ইবাদাতে কনভার্ট করাই তো মুমিনের বন্দেগী। আর নারীদের বিষয়ে তো আরো আরো এলার্জি কাজ করে।আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।

চলবে-

লেখকঃ কলাম লেখক এবং সাবেক এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা, গল্প  ও কবিতা  পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে ।  আসুন  ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো ।” (সূরা বাকারা-১৪৮) । আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

ফেসবুকে লেখক জামান শামস

আরও পড়ুন