Ads

ইসলাম বিরোধী মেডিয়া যাদের মুসলিম বানালো !

।। মূলঃ রায়া শকাটফার্ড ।।

।। অনুবাদঃ জামান শামস ।।

একটি ডেনিশ দ্বীপে যেখানে একজনও মুসলিম নেই, সেখানে তিনজন কলেজের মেয়ে একসাথে ইসলাম গ্রহণ করেছে  । অথচ তাদের জীবনে কোনও মুসলমানের সাথে দেখা হয়নি। আল্লাহু আকবার। তারা হলেন,জুলিয়া, তার বোন এবং বন্ধু।

শাহাদাতের বাণী শোনার পর পরদিন তারা হিজাব পরে ক্লাসে পৌঁছালে অধ্যক্ষ তাদের ডেকে জিজ্ঞেস করেন, কে তোমাদের ফুসলিয়েছে? তারা বলেন, আজ পর্যন্ত আমরা কোনো মুসলমানের সঙ্গে দেখা করিনি। তাহলে তোমার শরীরটা কেমন করে আবৃত হলো? জবাবে জুলিয়া বলেন,

আমরা যখন মিডিয়ায় ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুনেছি, তখন তিনজন মিলে ইসলাম নিয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনিও যদি কুসংস্কার দূরে রেখে গবেষণা করেন, তাহলে এই ধর্মের সত্যতা ও মূল্য বুঝবেন।

একথা শুনে অধ্যক্ষ চুপ হয়ে গেলেন।

জুলিয়ার বয়স কুড়ি বছর। তিনি বলেন যে আমি, আমার বোন এবং আমার বন্ধু একসাথে কুরআন পড়ি। এটা ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। আমাদের সুখের কোন স্থান ছিল না। কুরআন পড়া আমাদের আধ্যাত্মিক শান্তি এবং আরাম দিয়েছে, কোন শব্দে এটি বর্ণনা করতে পারবো না। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ধর্মীয় পণ্ডিতের সঙ্গে দেখা করিনি, সাধারণ মুসলমানের কথাই বলা যায় না।

আরও পড়ুন-

সন্তানকে মুমিন হিসেবে গড়ে তুলতে করণীয়

কুরআন থেকে তথ্য পেয়ে সব আদেশ মেনে চলতে শুরু করি। নেট থেকে আমরা প্রতিদিন বিষয় বেছে ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারি এবং ঐসব লিখে ব্যক্তিজীবনে প্রয়োগ করতে থাকি।ইসলাম গ্রহণের পর আমি নিজেও পবিত্র কুরআন চর্চা শুরু করি। তখন আমি আমার মনের মধ্যে আগে থেকে থাকা সমস্ত সমস্যার উত্তর পেয়েছি। এমনকি এখন যখন আমার মানসিক সংকট হয়, আমি পবিত্র কুরআনের দিকে ফিরে আসি। আমিও প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পাই এবং এক অদ্ভুত আনন্দ অনুভব করি।

এখন আমি আরবি ভাষা শিখতে চাই যাতে আমি সরাসরি পবিত্র কুরআন আরো ভালোভাবে বুঝতে পারি। জুলিয়া বলেন, এখন আমার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, সৃষ্টিকর্তা খুশি হোক এবং রাগান্বিত না হোক, প্রভুকে খুশি করার সবকিছুই আমাকে করতে হবে। আমার যা কিছু আছে, তা আমার প্রভুর ভরসা।

আমার কিছু প্রিয়জন নামাজ, রোজা, হিজাব ইত্যাদি দেখে বলেছিল, এটা খুব কঠিন ধর্ম, ছেড়ে দিন। সেই সাথে আমাকে ইসলাম থেকে বিমুখ করার জন্য প্রতিটি কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। বরং আমি তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতে লাগলাম। জুলিয়া বলেন, আমি এখন একটি পুরনো বাড়িতে রান্নার কাজ করি। আমি এমন একটি পরিবার চাই যেখানে সকল সদস্য মুসলিম এবং দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।

অনুবাদকঃ কলাম লেখক এবং সাবেক এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা, গল্প  ও কবিতা  পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে ।  আসুন  ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো ।” (সূরা বাকারা-১৪৮) । আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

আরও পড়ুন