Ads

আমি আবুবকর বনাম সন্তোষ কুমার

।। নূরুন্নাহার নীরু ।।

চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে যখন পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাই তখন অনেক খবরই অনুভূতির অগোচরে থেকে যায়৷ কিন্তু কখনো কখনো যখন কোন খবর কোন স্বনামধন্য লেখকের গল্প বা উপন্যাস বর্ণনার সাথে মিল খেয়ে যায় তবে তা অনুভূতির পাটাতনে অবশ্যই গুরুত্ববহ হয়ে ওঠে৷ এমনি একটি খবর গত ১৮/০৫/২৪ তারিখে দৈনিক সংগ্রামের শেষ পাতার এক কোণায় প্রকাশ পেয়েছেঃ “রাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি৷”

খবরটা হয়ত পত্রিকাওয়ালাদের কাছে বিশেষ কোন আহামরি খবর নয়, যেহেতু তাঁরা অহরহই এমন খবর দেখছে, পড়ছে, পাচ্ছে, ছাপছে৷ কিন্তু বিষয়টাতে আমার কেন জানি খুব কৌতূহল জাগলো৷ মনে পড়ে গেল বর্তমান সময়ের সর্বজন বিদগ্ধ একজন স্পষ্টভাষী লেখক, কথক অধ্যাপক আসিফ নজরুলের লেখা “আমি আবু বকর” বইটির কথা৷ কোথায় যেন একটা যোগসূত্র আছে এটির আজকের এই খবরের সাথে৷ এবারে ২০২৪ সালের বইমেলায় সর্বাধিক বিক্রীত বই হিসেবে বইটি খুব সুনাম কুড়িয়েছে৷ আমরা ক’জন বান্ধবী একই সাথে গিয়ে নির্ধারিত স্টল থেকে জনে জনে কিনে নিয়েছিলাম৷ পড়েও ফেলেছিলাম ইতোমধ্যে৷ আবার খুব উৎকন্ঠার সাথেই দিনও পার করছিলাম৷ উৎকন্ঠা হচ্ছিল লেখককে নিয়ে৷ এত স্পষ্টভাবে সত্য ঘটনা একেবারে নিজ নামে তুলে ধরে প্রচার করা কি চাট্টিখানি ব্যাপার!

তিনি লিখেছেন,” ভাবতাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির কত কিছু জানি আমি, জানি ছাত্র নির্যাতনের নেপথ্যর ঘটনাগুলো! ভাবতাম, এসব কাহিনী বলা দরকার সবাইকে৷” সেই বর্ণনারই  নির্যাতিত নির্মম  কাহিনী ” আমি আবু বকর৷” 

একেবারে খোলামেলা ফিরিস্তি৷ ক্যাডার হওয়ার  কারণ, প্রকরণ, উত্তরণ কি নেই সেই বর্ণনায়? নির্যাতন হচ্ছে একটা মাধ্যম আর সে সাথে একটা অপবাদ ঝুলিয়ে দিতে পারলে সেটাই হলো উত্তরণের উপায়৷ এমন প্রকাশ্য দলিল তুলে দিয়ে কেউ কি পারে পেতে  পারে? তবে হ্যাঁ তিনি আজো বহাল তবিয়তে আছেন৷ আমার আশঙ্কার মুখে ছাই দিয়ে যেমন হাত কড়া পরতে হয়নি তাঁকে তেমনি বইটিও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়নি৷

কী লেখা বইটিতে?  কী কথা এমন?বইটি একটি কালের সাক্ষী৷ একটি প্রজন্মের ইতিহাস৷ ক্ষমতাসীন দল মাত্রেই (আমাদের দেশের প্রচলিত ধারায়) তাদের যে বিশেষ রূপ-চরিত্র-আচরণ- ভঙ্গি সবই প্রকাশ পেয়েছে ‘আমি আবু বকর’ এ৷ সবই হচ্ছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি সত্যকল্প অথচ সহজ সাবলীল ভাবে বর্ণিত আজকের শিক্ষাঙ্গনের চিত্র৷ আজকের প্রকাশিত খবরটা যেন তারই আরেক পিঠ ৷ কারণ এ নির্যাতনের শিকার এক সনাতনী৷ লেখকের গল্পের নায়কের নাম আবুবকর৷ সে  মুসলিম৷ যাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ক্যাডাররা  অন্যায়ভাবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে প্রায় আধামরা করে একেবারে  হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল৷ শুধু তাই নয় চিকিৎসাও চলছিল তাদেরই নজরদারিতে৷ তবে যে অপবাদের তকমা তার ললাটে লেপ্টে দিয়েছিল তা ই ছিল তার ক্যারিয়ার ধ্বংসের মোক্ষম অস্ত্র৷ কারণ ঐ অপবাদ মানেই ভয়ঙ্কর কিছু৷ দেশের চোর, ডাকাত, লুচ্ছা, বদমাশ, খুনী, সন্ত্রাসী, ধর্ষক , মাদক সব কিছু বাদ দিয়ে ঐ শব্দে যে একবার আটকা পড়বে সে ই হবে সবচেয়ে অচ্ছুত! “সে শব্দটি হচ্ছে শিবির৷” তাইতো গল্পের ভাষায় বলতে হচ্ছে, “ভয়াবহ এক অভিযোগ তুলে নির্যাতন করা হয়েছিল তাকে৷ বের করে দেয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস থেকে৷”

সন্তানকে মুমিন হিসেবে গড়ে তুলতে করণীয়

এই নামে একবার যে ফাঁসতে পারবে তার কোন আর্জি নাই, আপিল নাই, বিচার চাওয়ারও অধিকার নাই—আমাদের এ গনতান্ত্রিক দেশে৷ আবু বকরের কন্ঠেই তার একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখা যায় এ বইতে ৷—”এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে তুমি কীভাবে  কর স্বাধীনতাবিরোধীদের সংগঠন? ” “স্যার ! আমি করি না৷  কেউ  প্রমাণ দিতে পারলে যে শাস্তি দেন মাথা পেতে নেব৷” প্রক্টর স্যার হুঙ্কার দিয়ে ওঠেন৷ “কী প্রমাণ চাও তুমি? তোমার ফোন পরীক্ষা করেছে ছেলেরা৷(ছেলেরা!) অবশ্যই তুমি স্বাধীনতা বিরোধীদের লোক৷” আমি চিৎকার করে উঠি,” এসব সত্যি না স্যার৷” “তুমি আমাকে চ্যালেঞ্জ করো৷! আবার তোমার এত বড় সাহস, তুমি ফোন কর আমাকে!” “স্যার” আমি কেঁদে ফেলি এবার৷ “তাহলে কার কাছে যাব, স্যার?” তিনি তিক্ত কন্ঠে পাকিস্তানের নাম বলেন, সেখানে চলে  যেতে বলেন ৷ পাকিস্তানের সাথে আমার কী সম্পর্ক, কেন সেখানে যাব, কিছুই বুঝতে পারি না৷     বিস্মিত হয়ে বলি,” কই যাব স্যার!” “পাকিস্তান! পেয়ারা পাকিস্তান!” নাটুকে ভঙ্গিতে এটা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন ৷ ঠিক একই অবস্থা দেখছি আজকের খবরের সাথে৷ ভূক্তভোগী সবুজ বিশ্বাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র৷ তার পক্ষে কথা বলার কেউ নেই বরং এ নামে কোন ছাত্রই উক্ত হলে নেই বলেই কর্তৃপক্ষের দাবী৷

তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ৩১৬ নং কক্ষে দলীয় প্রভাবে থাকতেন৷ পত্রিকার ভাষ্যানুযায়ী তিনি একজন ক্যাডারের অনুসারী হলেও আরেক ক্যাডার ৮/১০ জনকে সাথে নিয়ে তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মাইর দেন৷ এমতাবস্থায় সে  নিজেকে বাঁচাতে সবুজ বিশ্বাস নামে সনাতনধর্মাবলম্বী বলে পরিচয় দেন৷ এতে তাকে আরো বেশী মার ধোর করা হয়  এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি  দেয়া হয়৷ এমন কি অভিযুক্ত ক্যাডার সবুজ বিশ্বাসের  বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও হুমকি দেন৷ এই ছিল সংবাদের মূল বিষয়বস্তু৷ ঐ যে শিবির৷ ঐ শব্দটিই  হলো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার মোক্ষম হাতিয়ার৷

আবু বকর ছোট্ট এক শহর থেকে উঠে আসা মেধাবী ছাত্র৷ আর দশটা ছেলের মতই যার বয়স্কালীন আবেগ, উচ্ছ্বাস, কল্পনাপ্রীতি, নারী আসক্তি প্রকৃতির নিরন্তন সৌন্দর্যকে বুকে ধারণ করেই বেড়ে ওঠা —এর কোনটাই তারও ব্যতিক্রম হয় নি৷৷ তথাপি সে একদিন প্রচন্ড মাইরের শিকার হলো৷  ১০-১২ জনের এলো পাতারি মাইর৷ ঠিক ছাত্রীরা যেভাবে গণধর্ষিতা হয়৷ কিন্তু সে নিজেও জানে না কারণটা কী?

ভারতের বিস্মৃত স্বাধীনতা সংগ্রামী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

অবশেষে যখন একসময় নিয়তির পরিহাসে সে নিজেকে একজন ক্যাডার হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয় তখন এর কারণের জটসমূহ খুলে খুলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে তার কাছে৷ লেখকের বর্ণনা থেকেও সেটি সুস্পষ্টঃ” বাঁচার তাগিদে সে একসময় যোগ দেয় নির্যাতকদের দলে৷ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে৷” তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসবই যেন ক্যাডারদের মানোন্নয়নের চাবিকাঠি৷ ছাত্র দ্বারা ছাত্রের নির্যাতন, বেদম প্রহার, হুমকি দেয়া, অপবাদ লাগিয়ে দেয়া সহ বইটি থেকে পাঠক জানতে পেরেছে “চেতনার” মূলমন্ত্র কি? ,ক্যাডার হতে হলে হাত পাকাতে হবে, লিডারের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে হবে, তার হয়ে জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে  সে যতই অন্যায় করুক৷ এক নেতার অনুসারীরা আরেক নেতার অনুসারীদের বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে—তা না হলে উপরে ওঠার পথ কই? এখন বিরোধ নিজেরা নিজেরা ৷ মেরে কেটে যে বাঁচবে—সে ই থাকবে কারণ এখনতো আর বাঙালী-পাকিস্তানী বিরোধ নেই। নেই সরকারি দল-বিরোধীদলে কুচাকুচি ৷ এখন আমরা আমরাই ৷ কেটে মেরে যে থাকে সে যাবে—সেই পাবে উচ্চাসনের বরণমাল্য৷

এদের প্রধান টার্গেট হলো জুনিয়ররা, বিশ্ববিদ্যালয়ে  নতুন আসা গো বেচারা, নিরীহ, ছলছাতুরী জানে না বা ছলাকলা খেলে না, আরো যদি হয় নামাজী তাহলে সহজেই তাকে টার্গেটে নেয়া যায় আর  নিজেদেরকে শুদ্ধ প্রমাণ করতে ওই মোক্ষম অপবাদটা ঝুলিয়ে দেয়া সহজ হয়ে পড়ে ৷ আরো যদি ভয় দেখানো যায় পুলিশের হাতে সোপর্দ করার তাহলেতো আর কথাই নেই৷

এতে যা লাভ হবে তা হলো-

১) মাইরা হাতপাকা করা হয়,

২) উর্ধ্বতন নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়

৩)  পদোন্নতি অর্থাৎ ক্যাডার নামে পরিচিতি পাওয়া যায়৷

৪) ফলে অনায়াসে কিছু অস্ত্র চলে আসে হাতে,

৫) মটর সাইকেলের মালিক হওয়া যায়,

৬) টাকাপয়সার ভাগাভাগিতে অংশীদার হওয়া যায়৷

আর এর ফলাফলঃ

এ সব কিছুই প্রতিতক্ষকে চাপের মধ্যে রাখা, মাঝে মাঝে মটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত রাখা ৷ এগুলোই হচ্ছে  এই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান সময়ের পঠনপাঠনের পরিবেশ৷

মুসলমানের রক্তে লেখা ভারতের স্বাধীনতা

বইটি পাঠে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছি তা হলো ঐ শিবির আখ্যা৷ যার কোন বিচার নেই, যার থেকে মুক্তির সুযোগ নেই—অন্য সব অপরাধে সাতখুন মাপ হলেও  এটিতে নয়৷ তাইতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ বিশ্বাস বেঁচে যাবার জন্যে হলেও নিজেকে সনাতনী বলে দাবী করছিল কিন্তু ও কেও হুমকি খেতে হলো “শিবির বলে৷” অথচ আসিফ নজরুলের আবুবকরের মতই সেও  হয়তো এ জীবনেও শিবির শব্দটি শোনে নি৷ আমার কষ্ট এখানেই—এই সনাতনীর জন্যেই৷ সনাতনী বলেও যার মাফ নাই ! তবে কি সে বিড়াল তপস্বী? ক্যাডাররা সেটা বুঝতে পেরেছিল? না কি উগ্রহিন্দুত্ববাদের কোন ধ্বজাধারী? মুসলিম ছাত্রদের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকা কিংবা মুসলিম বেশধরে নীরিহ ছাত্রীদের মনকাড়া(যা ইদানীং একটা সামাজিক আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে) ! এসব নয়তো?  অবশ্য ক্যাডার নেতাটিও যদি বুঝে বুঝে ওরকমই একটাকে ধরে — “দে মাইর ৷” তবেতো এক ঢিলে দু পাখি মারা৷” শত হলেও মুসলিম বলেতো কথা৷ মুসলিম হয়ে মুসলিম বোনের ক্ষতি দেখা সেও কি সয়?—”দে মাইর ৷” হিন্দুত্ববাদের প্রচার প্রসার আমাদের মধ্যে!—”দে মাইর৷” আর শালা সংখ্যা লঘূ সংখ্যা লঘু কইয়্যা বহুত সুযোগ লুঠছস!—”দে মাইর ৷” নাহ! এসবতো নিতান্তই আমার চিন্তা ৷ আসিফ নজরুল হলে কী ভাবতেন?—

” আরে সনাতনী? আরে সংখ্যালঘু? বহুত সুযোগ নিয়েছ তোমরা! অন্য কোন সরকারের আমলেতো তোমাগো উপরে ফুলের টোকাও পড়তে পারে না ৷ অমনি বিশ্ব চিল্লাইয়্যা উঠে—ঐযে সাম্প্রদায়িকতায় লিপ্ত বাংলাদেশ ৷ শালা! আমাগো সময় ঐ সব কইবার ক্ষ্যাম কারো নাই ৷ আমাগো দয়ায়ই প্রশাসনের প্রতিটা উপরতলা তোদের দখলে ৷ তাই আয়, তোরে দিয়াই হাতটা পাকাইয়্যা লই ৷ অন্ততঃ স্বাদ কইরা মাইরা  নীচতলায় থাকার কষ্টটা একটু ভুলাই নিজের ৷”— “বেশি বাড় বাড়বি না৷ সরকার আঙ্গরই ৷ তোরা বরং ভোট দিতে বাধ্য ৷ নতুবা কই যাবি? বিএনপি করবি ? শিবিরে ঢুকবি ? শালা কোনটাই তোগোর লেইগা নাই,তোরাতো দেশপ্রেমিকই না ৷ খাস এ দেশত—কুল্লি ফালাস ঐ দেশত ৷ তোরা হইলি আমাগো ধ্বজাধারী! তবে তগোর মধ্যে ২/৪জন যে দেশ প্রেমিক নাই তা না ৷ কিন্তু ভিন্ন দল করায় কোণঠাসা হইয়্যা আছে ৷ তাই যাবি কই? মারলেও আমার ,আদর করলেও আমিই তোর ৷ তাই বেশি বাড়বি না—”শিবির” নামের তকমা লাগাইয়্যা দিমু৷”

এমনই যদি হয় বিষয়টা? ক্ষমতাসীন দল যদি এরকমই ভেবে থাকে? তবেতো সৃষ্টি হয়ে যাবে আরেকটা উপন্যাস৷ এবার আর “আমি আবুবকর” নয় বরং হতে পারে “আমি সন্তোষ কুমার৷”— আরো একটা উপন্যাস! আসিফ নজরুলের মত শক্তিশালী লেখকদের দিকে তাকিয়ে  থাকবে দেশ—জাতি৷ সরগরম হবে আরেকটা বই মেলা ৷

লেখকঃ গল্পকার ও প্রাবন্ধিক 

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা, গল্প  ও কবিতা  পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে ।  আসুন  ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো ।” (সূরা বাকারা-১৪৮) । আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

আরও পড়ুন