Ads

যে কারণে বিয়ে কঠিন হয়ে যাচ্ছে

।। ড. মো. নূরুল আমিন ।।

একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, সাংস্কতিক ও ধর্মীয় সমস্যা নিয়ে আজ কিছুটা আলোকপাত করার চিন্তা করছি। সমস্যাটি হচ্ছে বিবাহ। বিবাহ পরিবার গঠন, বংশ রক্ষা, বৈধ পন্থায় নারী পুরুষের জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং একটি সুশীল সমাজ গঠনের প্রধান ভিত্তি। এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে যে পরিবার গঠিত হয় তাকে জাতি গঠনের মূল উপাদান বলা হয়। কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সম্প্রতি এই বিবাহ ও বিবাহযোগ্য মেয়েদের নিয়ে উদ্বেগজনক কিছু সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে।

দৈনিক প্রথম আলো পরিবেশিত একটি সংবাদে শিরোনামে ছিল “পাত্রের অভাব : বিয়ে করতে পারছেন না সিলেটের মেয়েরা।” আরেকটি পত্রিকা “প্রজন্মের মা ধ্বংসের মাস্টার প্লান’ শিরোনামে তাদের এক রিপোর্টে বলেছে, ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েদের একটি অংশ দেহ ব্যবসা করছে। আরেকটি বড় অংশকে প্রেমিকের সাথে রুম ডেট, মেস, আবাসিক হোটেল, ডাক রেস্টুরেন্ট ও পার্কের ঝোপ জঙ্গলের আড়ালে অথবা প্রকাশ্যে অশ্লীল অভিসারে মগ্ন হয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

বিয়ে সাদীর বিষয়টি সহজ থাকার কথা থাকলেও সাম্প্রতিককালে অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে বলে মনে হয়। ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা বিয়েকে সহজ এবং জ্বেনা ব্যভিচারকে কঠিন করার কথা বলেছেন। আমাদের সমাজ জীবনের অবস্থা অত্যন্ত উল্টো হয়ে পড়েছে। শরিয়া সম্মত বিয়েতে পাত্র পাত্রী নির্বাচনের অনেকগুলো ক্রাইটেরিয়া দেখতে হয়। বিয়েতে পাত্র পাত্রীর যেমন সম্মতির প্রয়োজন তেমনি উভয়ের অভিভাবক বা ওলীর সম্মতিও অপরিহার্য। তা না হলে বিবাহ পরিশুদ্ধ হয় না। এখানে প্রেম করে বিয়ে করা বা পালিয়ে গিয়ে বিয়ের বিধান নেই। আমাদের গণমাধ্যম, নাটক নাটিকা বা উপন্যাসে অধুনা এ ধরনের বিয়ে, একত্র বাস ও বয়ফ্রেন্ড গার্ল ফ্রেন্ডের সংস্কৃতিকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। প্রেম করে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েরা অবৈধ সন্তানের মা হচ্ছে। আত্মহত্যাও করছে অথবা প্রেমিকের হাতে প্রাণও হারাচ্ছে। ঢাকার একজন নারী চিকিৎসক সামাজিক মাধ্যমে লাইভে এসে কিছুদিন আগে অবৈধভাবে গর্ভবতী হওয়া হাজার হাজার মেয়ের গর্ভপাতের ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরেছেন। এদের মধ্যে আছে অবিবাহিতা মেয়ে, প্রবাসীদের বিবাহিত স্ত্রী প্রমুখ। আবার মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূদেরও একটা অংশ লাইফস্টাইল উন্নত রাখার জন্যও বেশ্যাবৃত্তিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহল অভিমত প্রকাশ করেছেন। ইসলামে নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা হারাম, মেয়েদের মহরম-গায়রে মহরম ও পর্দা-হিজাবের বিধি বিধান মেনে চলা অবশ্য কর্তব্য। এখানে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্পূর্ণ হারাম। এখন সিলেটের মেয়েদের বিয়ের বর না পাওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা দরকার।

আরও পড়ুন-স্বামী তার স্ত্রীকে কখন পাগলের মত ভালোবাসে?

সিলেটের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে। আমার ৩৫ বছরের সরকারী চাকরির জীবনে ২০০৪ সালে অবসরে যাবার আগ পর্যন্ত দুই মেয়াদে ৭ বছর আমি সিলেটে কর্মরত ছিলাম। ইসলামী অনুশাসন, বিধি বিধান ও সংস্কৃতির দিক থেকে এই জেলাটি অগ্রগামী। বাংলাদেশে আরো দুটি জেলা আছে সিলেটের ন্যায় যেখানে মেয়েরা পর্দা মেনে চলতো। যেমন বৃহত্তর নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম। এই জেলাগুলোতে দিনের বেলা মেয়েদের বিনা পর্দায় চলাফেরা করতে দেখা যেতো না। এখনকার পরিস্থিতি অবশ্য ভিন্ন। সিলেটে বিয়ে কঠিন ও ব্যয়বহুল ছিল। খান্দানের জটিলতাও ছিল। তাদের বেশির ভাগই আমি অন্তর্মুখী দেখেছি। বাইরের জেলাগুলোতে তারা খুবই কম আত্মীয়তা করতো। অনেক পরিবারে দেখেছি বরকে কনের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হতো। মোহরানা ধরা হতো বিশাল অংকের। লন্ডনী জেলা হিসাবে এখানে অন্যান্য জেলার তুলনায় পণ্যসামগ্রী এবং মানুষ সবারই দাম ছিল খুব বেশি। এসব নিয়ে আমি প্রায় সময়ই যুগভেরী সম্পাদক আমিনুর রশীদ চোধুরী, পর্দার অন্তরালের সাংবাদিক ফাহমিদা, চৌধুরী সিলেট প্রেস ক্লাবের দীর্ঘ দিনের সভাপতি আমার পরম শ্রদ্ধেয় জনাব বুরহানউদ্দিন খানের সঙ্গে আলোচনা করতাম। লন্ডনী জেলা সিলেট এখন আর লন্ডনে সীমাবদ্ধ নেই। আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালী, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তরে তারা ছড়িয়ে পড়েছেন জীবিকার সন্ধানে। অঢেল পয়সা কড়িও রোজগার করছেন। অনেকে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামের বাড়ীতে রাজপ্রাসাদ তৈরি করছেন যেখানে পাহারাদার ছাড়া আর কাউকে বসবাস করতে দেখা যায় না। শুধুমাত্র অমুকের ছেলে অমুক এই সুন্দর প্রাসাদটি করেছেন এই কথাটি শোনার জন্য এদের অনেকেই উদগ্রীব। আমার সিলেটী বন্ধুরা আমাকে ক্ষমা করবেন। সিলেটী সমাজে একটি রোগ বাসা বেঁধেছে সেটি হচ্ছে স্বপ্ন। একটি ছেলে তার কিশোর বয়স থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করে কিভাবে সে ইউরোপ, আমেরিকা যাবে। কোনও রকমে এইচএসসি পাস করে বেশীর ভাগ বিদেশে পাড়ি জমায়, এদের একটা ক্ষুদ্রাংশ সেখানে হয়ত লেখাপড়া করে। বেশীর ভাগ রেস্তোরাঁয় কাজ করে অথবা রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা করে।

মেয়েরা তাদের মত বিদেশ যেতে পারে না। তারা দেশে থেকে পড়ালেখা করে। স্নাতক  স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেয় অথবা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়। দুঃখজনক হচ্ছে খান্দানী ঘরের এসব মেয়ের জন্য উচ্চশিক্ষিত ও যোগ্য পাত্র পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বিদেশী পাত্র পেলেও এতদিনে তাদের মন-মানসিকতার পাশ্চাত্যায়ন ঘটায় পিতৃপুরুষের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তারা হারিয়ে ফেলেন। এতে করে অনেক ক্ষেত্রেই বিবাহ টিকে না। ফলে সিলেটি মেয়েদের বিয়ের উপযুক্ত বর পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছে। ২০০৩ সালের কথা। আমার দফতরের একজন নৈশপ্রহরী। তার পুত্রের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত করলেন। অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে দেখলাম এখনো বরযাত্রী আসেনি। আধাঘণ্টা পরে আসলো বিরাট বহর নিয়ে, শতাধিক রিকশার বহর। আমার সহকর্মী নৈশপ্রহরী মোকাদ্দাস আলীকে জিজ্ঞেস করলাম, এটা কী? তিনি বললেন, এটা সিলেটের নিয়ম। সেখানে অনেক অভিজাত পরিবারে বিয়ে-সাদীতেও এ ধরনের বাহুল্য আমার নজরে এসেছে এবং পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটি আমার মনে পড়েছে,

‘ইন্নাল মুবাজ্জিরিনা কানু ইখওয়ানুস শায়াতিন’ অর্থাৎ অপচয়কারী শয়তানের ভাই। এটা শুধু সিলেট নয়, সর্বত্র ছাড়িয়ে পড়েছে। ফলে বিবাহ কঠিন ও জেনা-ব্যভিচার, সহজ হয়ে গেছে।

আরেকটি বিষয়। এটা শুধু সিলেট নয়, সব জেলার জন্য প্রযোজ্য। এটা হচ্ছে বংশগত মর্যাদার বিষয়। কে সৈয়দ, কে মিয়া, ভুইঞা, চৌধুরী ইত্যাদি। এই বিষয়টি হিন্দুদের বর্ণভেদ প্রথার আকার ধারণ করেছে। আমাদের দেশের অনেক বাংলাভাষী মুসলিম নামের শেষে বা আগে বিভিন্ন পদবি যোগ করে থাকেন। যেমন সৈয়দ, খন্দকার, চৌধুরী, ভুইঞা, মিয়া বা মিয়াজি, ফকির, শিকদার, মজুমদার, তালুকদার, কাজি, বেপারি, পাটোয়ারি, হাজারী, মুন্সি প্রভৃতি। যারা এই পদবি ব্যবহার করেন তারা স্ব স্ব অবস্থানে নিজেদের খান্দানি বলে জাহির করে থাকেন। আমার জানাশোনা একটা ইঞ্জিনিয়ার চাকরিজীবী, পরহেজগার পাত্রের জন্য আমারই পরিচিত একটি পরিবারের একটি মেয়ের জন্য আমার বিবি সাহেবা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পাত্রীর মা চিন্তা-ভাবনা না করেই উত্তর দিয়ে দিলেন আমরা তো ভুইঞা আর তারা মিয়াজী, এই বিবাহ তো হতে পারে না! এই ধরনের মানসিকতা সর্বত্র দেখা যায়। যারা এসব পদবি নিয়ে অহংকার করেন তাদের যদি এই পদবির অর্থ ও উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় তারা কিছুই বলতে পারবেন না। পদবি বলতে বোঝায় কোনো বংশ বা গোত্রকে। এটি ছিল একটি আরবীয় সংস্কৃতি। তারা তাদের পূর্বপুরুষ কোনো ব্যক্তির নাম বা উপাধি বা লকব থেকে এটা চালু করেছেন। যেমন সাইয়েদ, হাশমী, আলভী, আউশী, উমাইয়া, তামীমী, ফারুকী, হাসান, কালভী, কাইতানী প্রভৃতি। অথচ বাংলাতে প্রচলিত অধিকাংশ পদবি আসলে কোনো পদবিই নয়। মুঘল বা ইংরেজ আমলে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের উপাধিই পরবর্তী প্রজন্ম পদবি হিসেবে ব্যবহার করছে।

আরও পড়ুন-ব্যভিচারের বিস্তৃতি বিয়ের প্রয়োজন বিলোপ করছে কি?

পেশা সংশ্লিষ্ট পদবির মধ্যে রয়েছে : চৌধুরী, তালুকদার, তরফদার, লস্কর, খন্দকার, কাজী, বেপারি, সেকান্দার, মজুমদার প্রভৃতি। আবার এই পদবিগুলোকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা যায়। যেমন বংশীয়, ধর্মীয়, শাসন/সম্পত্তি সংক্রান্ত পদবি, পেশা ও অন্যান্য।

বংশীয় পদবির মধ্যে সৈয়দ পদবি এসেছে নবীনন্দিনী ফাতেমা (রা.) ও আলী (রা.)-এর বংশ থেকে। শেখ হচ্ছে সম্মানসূচক উচ্চ রাজকীয় একটি পদবি। একজন গোত্রপতি তার পিতার মৃত্যুর পর এই পদবি পান। হযরত আবু বকর (রা.)-এর বংশধররা এই পদবি ব্যবহার করেন। আফগান ও পাঠান বংশীয় লোকরা খান পদবিতে ভূষিত হন। মুসলিম উচ্চপদস্থ সামাজিক ব্যক্তির সম্মানসূচক পদবি হচ্ছে মিয়া বা মিয়াজি।

ভূমির মালিকানা অর্থ থেকে ভুইঞা শব্দটি এসেছে বাঙালি, হিন্দু-মুসলিম উভয়ে এই পদবি ব্যবহার করেন; মুসলমানরা ভুইঞা, হিন্দুরা ভৌমিক। প্রাচীনকালে বড় জমিদার বা সামন্ত রাজার উপাধিও ছিল ভুইঞা। যেমন বাংলার বারো ভুইঞা। আবার যেসব লোক স্থানবিশেষে বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে বসতি ও চাষাবাদের পত্তন করেছে তারা ভুইঞা নামে অভিহিত হয়ে ওইসব জমি-জমার স্বত্ব লাভ করেছে। পদবিসমূহের বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে এই নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধি পাবে। পদবিগুলো বিয়ে-সাদী ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যবধান সৃষ্টি করছে বলেই কথাটা আমি উল্লেখ করেছি। এটা একটা জাহেলিয়াত। এই জাহেলিয়াতকে রাসূল (সা.) চিরকালের জন্য হারাম ঘোষণা করেছেন। আশরাফ, আতরাফ ও সাদা-কালোর বিভেদকে পায়ের নিচে পিষ্ট করেছেন। তাঁর উম্মত হিসেবে আমাদের তা পরিহার করা কর্তব্য। প্রসঙ্গত এখানে একটা হাদিস উদ্ধৃত করতে চাই।

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, একজন নারীকে চারটি জিনিস দেখে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার পরিবার ও বংশ মর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য ও ৪. তার ধর্মপরায়ণতা। রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা ধার্মিক মেয়েদের বিয়ে কর, নতুবা তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (বোখারী)

আমাদের সমাজ ব্যবস্থার যে পাশ্চাত্যায়ন ঘটছে তাতে আমাদের পরিবার প্রথা ভেঙে যাচ্ছে, নৈতিক স্খলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিয়ে-সাদীর জন্য পাত্র-পাত্রী নির্বাচন কঠিন হয়ে পড়েছে। এটাকে সহজ করার জন্য আমাদের অহংবোধ, যৌতুক প্রথার বিলোপ এবং হাতির দাঁতের ন্যায় ‘শো’ হিসেবে বিরাট অংকের মোহরানা ধার্য করাসহ শরীয়া বহির্ভূত অন্যান্য কুপ্রথাগুলো দূর করা অপরিহার্য। এ ব্যাপারে সমাজের মুরুব্বীরাসহ আলেম-ওলামারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে আমার বিশ‍্বাস।

লেখকঃ প্রাবন্ধিক এবং সহকারী সম্পাদক, দৈনিক সংগ্রাম

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা, গল্প  ও কবিতা  পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে ।  আসুন  ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো ।” (সূরা বাকারা-১৪৮) । আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

আরও পড়ুন