Ads

মধ্যবিত্ত ছাত্রের জীবনের ঘটনা থেকে শিক্ষা ও করণীয়

।। ড. মোহাঃ ইয়ামিন হোসেন ।।

ঘটনাগুলো বিভিন্ন সোর্স থেকে নেওয়া। আমি ঘটনাগুলো থেকে মোটিভেশন এবং করণীয় কি হতে পারে সেগুলো বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, ছাত্র-ছাত্রীসহ সকলেরই অনেক কিছু শিক্ষণীয় বিষয় এখান থেকে পাওয়া যাবে।

“আমি এক ছাত্রকে চিনতাম। সে হল থেকে হেঁটে ধানমন্ডি ১৫ তে টিউশনি করতে যেত। টিউশনি শেষে আবার হেঁটে হলে ফিরতো। তখন তার হাতে মোবাইল ছিল না। তার হাতে থাকতো নোট। হাঁটার সময় সে নোট পড়তো এবং টিউশনি করে ভাড়া বাঁচাতো।

একদিন সে ছাত্রকে পড়াচ্ছিল। এমন সময় সে শুনতে পেল ছাত্রের পিতা ছাত্রের মাকে বলছেন, “স্যারকে আজ হেঁটে হেঁটে আসতে দেখলাম।” মা জিজ্ঞেস করলেন, “হেঁটে আসতে দেখলে তাকে রাইড দিলে না কেন?” পিতা উত্তর দিলেন, “রাইড দেইনি কারণ এতে হয়তো উনি লজ্জা পেতেন বা বিব্রত বোধ করতেন। তাছাড়া, প্রতিদিনতো রাইড দিতে পারবো না। প্রতিদিন রাস্তায় উনার সাথে আমার দেখা হবে না। একটা কাজ করো- আজ থেকে স্যারকে আর রাতে নাস্তা দিও না। রাতে খাবার খেতে দিও।” ছাত্রের চোখ অশ্রুসিক্ত হলো। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের এমন অসংখ্য অদেখা অশ্রু আছে। সব অশ্রু শুধু প্রেমঘটিত নয়, জীবন ঘটিত অশ্রুপাতও আছে।

এক ছাত্রকে চিনতাম যার বাবা হঠাৎ করে মারা গেলেন। ভাইবোন এগারো জনের মধ্যে সে ছিল সবচেয়ে বড়। সে হলো নৌকার মাঝি। নৌকা বেয়ে সে পরিবারের হাল ধরলো। ভাইবোন সবাইকে শিক্ষিত করালো, বিয়ে শাদি দিলো, মাকে হজ্ব করালো। কিন্তু অসম্ভব মেধাবী হওয়ার পরও তার আর পড়ালেখা হলো না। ভাইবোনদের স্বপ্ন বুনতে গিয়ে নিজের সংসার করাও তার হলো না। জীবনের কত ঘাত-প্রতিঘাতে কত মেধাবীরা এভাবে ঝরে পড়েছে, কত মেধাবীরা খেয়া নৌকার মাঝি হয়ে গেছে, তা কেউ জানে না। আমরা সিনেমা, স্পোর্টস, সংগীত জগতের তারকাদের চিনি কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের পর্দার আড়ালে থাকা এসব জীবন যোদ্ধা তারকাদের চিনি না। লড়াই করেও হেরে যাওয়া সংগ্রামী মানুষের কথা কোথাও লেখা থাকে না।

অসংখ্য ছাত্র আছে যারা গণরুমে রাত কাটিয়ে, গণ শৌচাগারে লাইন ধরে প্রাতঃক্রিয়া শেষ করে । এরপর কোনো রকমে কলা রুটি খেয়ে বা না খেয়ে ক্লাসে উপস্থিত হয়। কিছুদিন আগে ইউটিউবে একটা ডকুমেন্টারি দেখলাম, যেখানে একদিকে ছাত্ররা জুমে ক্লাস শিখছে, অন্যদিকে আফ্রিকার হাজার হাজার শিশুরা ঘুম থেকে জেগে ওঠে দুই-তিন ঘণ্টা পানির জন্য হাঁটছে।

অনেকে মোটিভেশন দিতে গিয়ে বলেন, “দিনরাত তো সবার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা। ও পারলে তুমি কেন পারবে না।” কিন্তু যে ছাত্রটি হেঁটে টিউশনিতে যায় আর যে প্রাইভেট কারে ক্যাম্পাসে যায় তাদের চব্বিশ ঘণ্টা সমান না। যে ছাত্রটি গণশৌচাগারে লাইন ধরে প্রাতঃক্রিয়া শেষ করে কোনো রকমে কলা রুটি খেয়ে ক্লাসে যায় আর যে ডাইনিং টেবিলে খাবার রেডি পায় তাদের চব্বিশ ঘণ্টা সমান না। যে শিশুটি প্রতিদিন দুই-তিন মাইল হাঁটে পানির জন্য আর যে শিশুটি ঘরে বসে অনলাইনে জ্ঞান বিজ্ঞানের জগতে হাঁটে তাদের চব্বিশ ঘণ্টা সমান না। অসম্ভব মেধাবী হওয়ার পরও জীবন চালানোর প্রয়োজনে যাকে খেয়া নৌকার মাঝি হতে হয় আর যে আনন্দের জন্য খেয়া নৌকায় চন্দ্রিমা রাত উদযাপন করে তাদের চব্বিশ ঘণ্টা সমান না।

ডিসকভারির ডকুমেন্টারিতে দেখা যায়, একটা ফিশ ট্যাংকে থাকা শার্কের বড়জোড় আট ইঞ্চি গ্রোথ হয়, যেখানে সমুদ্রের শার্কের গ্রোথ হয় আট ফুট। এখানে, শার্কের দোষ না, দোষ হলো পানির, পানির ট্যাংকের শার্কের বেড়ে ওঠা পরিবেশের।

“সবার জন্য সমান চব্বিশ ঘণ্টা” এটা কেবল ঘড়ির কাটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মানুষের জীবনের ক্ষেত্রে নয়। একেক জীবনের গল্প একেক রকম। একই গজফিতা দিয়ে ভূমি মাপা যায়, কিন্তু মানুষের জীবন মাপা যায় না।”

আরও পড়ুন-

যে কারণে রাতের ইবাদাত অধিক ফলপ্রসূ

ঘটনাগুলো থেকে পাওয়া মোটিভেশনাল বিষয়সমূহ

উপরের ঘটনাগুলোর বিশ্লেষণ করে কয়েকটি মোটিভেশনাল বিষয় তুলে ধরলাম  যা আমাদের সকলের জীবনে প্রযোজ্য হতে পারে। এসব বিষয় আমাদের প্রতিদিনের সংগ্রামে শক্তি এবং প্রেরণা যোগাতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ ।

১। কঠোর পরিশ্রমের মূল্য

ঘটনাগুলোতে দেখা যায়, ছাত্ররা কত কষ্ট সহ্য করে এবং ত্যাগ স্বীকার করে নিজেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগের ফলাফল ভবিষ্যতে তাদের জীবনে সাফল্য এনে দিতে পারে। আমাদেরও নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

২। সহানুভূতি এবং মানবিকতা

ছাত্রের পিতার ঘটনাটি মানবিকতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। তিনি বুঝেছিলেন যে স্যারকে রাইড দিলে তিনি লজ্জা পেতে পারেন এবং তাই তিনি এড়িয়ে গেছেন। এর পরিবর্তে তিনি স্যারকে রাতে খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সহানুভূতি এবং মানবিকতা আমাদের সমাজকে আরও সুন্দর করে তোলে। আমাদের উচিত আমাদের আশেপাশের মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।

৩। সংকল্প এবং স্থিতিশীলতা

নৌকার মাঝি ছাত্রের ঘটনা আমাদের শেখায় কীভাবে সংকল্প এবং স্থিতিশীলতা দিয়ে জীবনকে চালানো যায়। ভাইবোনদের শিক্ষিত করা, বিয়ে শাদি করানো এবং মাকে হজ্ব করানোর জন্য সে নিজের পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত জীবনের ত্যাগ স্বীকার করেছে। আমাদেরও সংকল্প এবং স্থিতিশীলতার মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করতে হবে।

৪। সময়ের সঠিক ব্যবহার

ঘটনাগুলো থেকে বোঝা যায়, সব ছাত্রের জন্য চব্বিশ ঘণ্টা সমান নয়। যারা কঠোর পরিশ্রম করে এবং যাদের জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, তাদের জন্য সময়ের সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরও আমাদের সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে।

৫। আশাবাদ এবং দৃঢ়তা

ঘটনাগুলোতে ছাত্রদের বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আশাবাদী এবং দৃঢ় থাকার চিত্র দেখা যায়। জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমাদেরও আশাবাদী এবং দৃঢ় থাকতে হবে। আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ়তা দিয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।

আরও পড়ুন-

বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আগ্রহীদের জন্য করণীয়

৬। মেধার সঠিক মূল্যায়ন

শার্কের উদাহরণ আমাদের শেখায়, প্রতিভা এবং মেধার সঠিক মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। যদি পরিবেশ এবং সুযোগ-সুবিধা না থাকে, তাহলে মেধা বিকশিত হতে পারে না। আমাদের উচিত আমাদের চারপাশের মানুষদের মেধা এবং প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং তাদের সঠিক সুযোগ দেওয়া।

৭। ভিন্নতাকে সম্মান করা

সব জীবনের গল্প একই রকম নয় এবং একই গজফিতা দিয়ে সবকিছু মাপা যায় না। আমাদের উচিত ভিন্নতাকে সম্মান করা এবং অন্যদের জীবনের অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করা। ভিন্নতা আমাদের সমাজকে সমৃদ্ধ করে এবং আমাদের আরও সহানুভূতিশীল করে তোলে।

৮৷ ধৈর্য এবং সমতা

সবার জন্য সমান চব্বিশ ঘণ্টা না থাকলেও আমাদের ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে এবং সমতার জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের উচিত এমন একটি সমাজ গঠন করা যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে এবং কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

উপরের ঘটনাগুলো থেকে এই মোটিভেশনাল বিষয়গুলো তুলে ধরে আমরা আমাদের জীবনকে আরও উন্নত এবং সফল করে তুলতে পারি। আমাদের উচিত প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে এই শিক্ষাগুলোকে মনে রাখা এবং এগিয়ে যাওয়া।

ব্যক্তি, সমাজ, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের করণীয়

উপরের ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে ব্যক্তি, সমাজ, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের করণীয় কি কি হতে পারে তা এখানে ছোট আকারে উপস্থাপন করলাম।

 ব্যক্তির করণীয়

১। সম্মান ও সহানুভূতি

প্রত্যেক ব্যক্তিকে অন্যদের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতি প্রদর্শন করতে হবে, বিশেষত যারা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেদের উন্নতি করার চেষ্টা করছে।

২। নৈতিকতা ও নীতি মেনে চলা

ব্যক্তিগত জীবনে নৈতিকতা ও নীতি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। এটি সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।

৩। আত্মমর্যাদাবোধ

প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের মর্যাদা ও আত্মসম্মান রক্ষা করতে হবে এবং অন্যদেরকেও সেইভাবে সম্মান করতে হবে।

আরও পড়ুন-

আইআইটির মুসলিম ছাত্র হত্যার প্রেক্ষিতে যা হচ্ছে ভারতে

সমাজের করণীয়

১। শিক্ষকদের সম্মান বৃদ্ধি

সমাজের প্রতিটি স্তরে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করা উচিত। এটি শিক্ষার মান উন্নত করতে সহায়ক হবে।

২। সামাজিক ন্যায়বিচার

সমাজে সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং তাদের সমান সুযোগ প্রদান করা।

৩। সহযোগিতা ও সমর্থন

সমাজের প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রদানে উদ্যোগী হতে হবে, বিশেষত যারা আর্থিক ও সামাজিক চাপে রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের করণীয়

১। শিক্ষার মান উন্নয়ন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

২। সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক ও উৎসাহমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে তারা শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়।

৩।  গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহ

গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুন-

ট্যাবু ভাঙার নামে শালীনতাবোধ হ্রাসের প্রশিক্ষণ !

রাষ্ট্রের করণীয়

১। নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন

শিক্ষকদের সম্মান বৃদ্ধি ও শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও সেগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

২। সুবিধা প্রদান

শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ও গবেষণার সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে।

৩। সামাজিক নিরাপত্তা

আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৪। মেধা বিকাশে সহায়তা

মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করতে হবে যাতে তারা তাদের মেধা বিকাশে অবদান রাখতে পারে।

এই করণীয়গুলো পালনের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্র একত্রে কাজ করে একটি উন্নত, নৈতিক ও শিক্ষিত সমাজ গঠন করতে পারে, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তির মেধা ও মর্যাদা সঠিকভাবে মূল্যায়িত হবে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমিন!

লেখকঃ প্রাবন্ধিক এবং অধ্যাপক, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা, গল্প  ও কবিতা  পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে ।  আসুন  ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো ।” (সূরা বাকারা-১৪৮) । আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

ফেসবুকে লেখক  মোঃ ইয়ামিন হোসেন 

আরও পড়ুন